সহজ পদ্ধতিতে হলুদ দাঁত সাদা করার উপায়

দাঁতের উপর জমে থাকা হলদে দাগ অনেক সময় আমাদের আত্মবিশ্বাস কমিয়ে দেয়। বস্তুত, দৈনন্দিন জীবনের চাপ এবং খাবারের পেছনে দাঁতের স্বাভাবিক রঙ হারানো স্বাভাবিক। কিন্তু ডেন্টিস্টের কাছে না গিয়ে ঘরোয়া পদ্ধতিতে এর সমাধান করতে পারলে কেমন হয়? দাঁতের বিশেষজ্ঞ ডা. নোবেল জানাচ্ছেন কীভাবে দীর্ঘদিনের জমে থাকা খাদ্যকণা এবং পাথরের আস্তরণ দূর করে দাঁতের প্রাকৃতিক শোভা ফিরিয়ে আনা সম্ভব।
Dat
ঘরোয়া পদ্ধতিতে দাঁতের দাগ ও পাথর দূর করার কৌশল
ডা. নোবেল বলছেন, দৈনন্দিন রুটিনে একটু সচেতন থাকলেই ঘরে বসে দাঁতের পরিচর্যা করা যায়। প্রথমেই যা দরকার তা হলো বেকিং সোডা এবং ৩% হাইড্রোজেন পারক্সাইড। এক চা চামচ বেকিং সোডা এবং এক চা চামচ হাইড্রোজেন পারক্সাইড মিশিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করতে হবে। এই পেস্টটি ব্যবহার করে প্রয়োজনে দাঁত ব্রাশ করলে দাঁতের হলদে দাগ ও পাথর অদৃশ্য হয়ে যাবে।
রাতের বেলা ব্রাশ করার উপকারিতা নিয়ে ডা. নোবেল বলেন, রাতে নিয়মিত ব্রাশ না করলে দাঁতে খাদ্যকণা জমে থাকতে পারে। যা থেকে ব্যাকটেরিয়া ও পোকা জন্মাতে পারে, ফলে দাঁতে পাথর জমতে শুরু করে। রাতে ১২-১৪ ঘণ্টা খাবার না খেয়ে থাকার সময় এই সমস্যাগুলি অধিক হারে দেখা দেয়।
সাবধানতা অবলম্বন করে ব্রাশের উপকারিতা
ঘরোয়া পদ্ধতিতে কয়েক সপ্তাহ নিয়মিত ব্রাশ করলে দাঁতের মধ্যে একটি চকচকে পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাবে। দাঁতগুলো হয়ে উঠবে ধবধবে সাদা এবং সৌন্দর্যের একটি নতুন মাত্রা পাবে। তবে অতিরিক্ত ব্যবহারে দাঁতের এনামেল ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে, তাই সচেতন থাকা জরুরি। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়াই এই পদ্ধতি বেশি ব্যবহার না করাই উত্তম বলে মনে করেন ডা. নোবেল।
অনেক সময় আমরা বানিজ্যিক পণ্য ব্যবহারে ঝুঁকে পড়ি, যা ক্ষতিকর হতে পারে। ডা. নোবেল অনুসারে, প্রাকৃতিক উপায়ে দাঁতের পরিচর্যা করে চমৎকার ফলাফল পাওয়া যায়। তবে তার পাশাপাশি সাধারণ দাঁতের যত্নের রুটিন যেমন নিয়মিত ব্রাশ এবং ফ্লসিং আরও কার্যকরী করে তুলতে পারে (উৎস)